খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ - বাসাইল নতুন সংবাদ ডটকম
|
ads
  • খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

     




    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাসের ছাদসহ ট্রাক ও পিকআপভ্যানে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট।এছাড়াও যাত্রীদের দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।


    ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীরা যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলেই বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাত্রীরা পরিবহন করছে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।


    এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়কে সার্বিক নিরাপত্তায় ও ঈদযাত্রা স্বস্তি দায়ক করতে জেলা পুলিশের প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।



    চন্দ্রা থেকে আসা বাসের যাত্রী নূর মোহাম্মদ রুবেল বলেন, চন্দ্রা থেকে আগে টাঙ্গাইল আসতাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা লাগতো।আজ চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল আসলাম ২০০ টাকা দিয়ে।অনেক সময় দাড়িয়ে থেকে বাস পেয়েছি।



    আরেক যাত্রী জিল্লুর রহমান বলেন,টাঙ্গাইল আশেকপুর বাইপাসে প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি।কোন গাড়ি থামছে না।আমি নিজ এলাকায় বগুড়া যাব।গাড়ি থামলেও ভাড়া বেশি চাচ্ছে।আগে বগুড়া যেতাম ২০০ টাকা দিয়ে আজ ৩০০ টাকা চাইতেছে।



    ঢাকা থেকে আসা যাত্রী রিনা বেগম বলেন,পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছি।আজকে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। ঢাকা থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে বগুড়া আসতাম। আর আজকে ৬০০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে।


    সিরাজগঞ্জের যাত্রী রোজিনা আক্তার বলেন,বাস না পেয়ে ট্রাকে করে যাচ্ছি। পরিবারের সাথে ঈদের ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারব এটাই বড় আনন্দ।অনেকেই বাস না পেয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে যাচ্ছে।বাসে দ্বিগুন ভাড়া চাচ্ছে।এইজন্য ট্রাকে করে যাইতেছি।



    মিরপুর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা মোক্তাজুল ইসলাম বলেন,আমি রাজশাহী যাব।এইবার আমি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।বাসে আসলে ঈদের সময় ভাড়া বেশি নেয়।যেখানে ৩০০ টাকা ভাড়া বাসে সেখানে ৬০০ টাকা নেই।এইজন্য মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছি।




    জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।