ফ্যাসিবাদের সাথে সাথে ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থাকে বিদায় করা হবে আমাদের সংগ্রাম জোনায়েদ সাকি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০১১ সাল থেকে লড়াই করেছে। শাসকের বিদায় করতে হবে। এই বিদায় আমরা আগেও করেছি। কিন্ত আগে যেটা পারেনি, শাসকের সাথে সাথে শাসন ব্যবস্থার বদল করা। ফ্যাসিবাদের সাথে সাথে ফ্যাসিবাদের ব্যবস্থাকে বিদায় করা হবে আমাদের সংগ্রাম। ফ্যাসিবাদের পুরো ব্যবস্থাকে যদি আমরা বদলাতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এই লড়াইতে আর আসবে না।
রোববার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলার উদ্যোগে জুলাই সমাবেশের প্রধাস অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বছরের পর বছর লড়াই করে মানুষ ধীরে ধীরে বারুদের স্তুপ পরিনত হয়েছিলো। বিশেষ করে ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধন করলো, তখন বুজা গেছে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। তাদের বাসনা ছিলো নিজেদের চিরস্থায়ী বন্দবন্তে পরিণত করা।
আমরা বলেছি এই সংবিধান মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর দাড়িয়ে হয়েছে, কিন্ত মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্খা ছিলো, সেই আকাঙ্খা সংবিধানে প্রতিফলন হয়নি। প্রতিফলন হয়নি বিধায় সমস্ত ক্ষমতা একজন ব্যক্তির কাছে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তার হাতে সব ক্ষমতা। আর তিনি পুরো রাষ্ট্রটা নিজের পকেটে ডুকিয়ে জনগণের উপর তীর চালিয়েছেন। এরা সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এসেছিলো, কিন্ত তা বেশি দিন টিকেনি।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা মামলা গুম খুন করা হয়েছে। তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা মামলা গুম খুন করা হয়েছে। তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।
তিনি আরো বলেন, আমরা অনেকেই দেখছি গণতন্ত্র ও দেশের উন্নতির কথা বলেন, কিন্ত তাদের গণতন্ত্র ও দেশের উন্নতির মধ্যে আমাদের শ্রমিক নেই, নারী নেই, নীপিড়িত জাতি ও জনগোষ্ঠী নেই। আমাদের তরুন ছাত্রও নেই। আমাগী দিনের এই তরুনদের কাজে লাগাতে হবে। তরুনদের কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যে এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে নতুন নীতি দরকার।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোফাখখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের টাঙ্গাইল জেলা সংগঠক ফাতেমা রহমান বিথি, পৌর কমিটির সদস্য সচিব ফারজানা জেসমিন নিহত মারুফের মা মোরশেদা বেগম প্রমুখ।
এসময় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং গণসংহতি আন্দোলনের অন্যন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।