আমি যতদিন বেঁচে থাকব,বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব: কাদের সিদ্দিকী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন,বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি বাংলাদেশ ও মাতৃভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম।আজ আমার কাছে মা আর মাতৃভূমির মধ্যে কোন প্রাথক্য নেই।মা আর মাতৃভূমি আমার কাছে এক ও অভিন্ন।আমি আমার স্ত্রী,ছেলেমেয়েদের ভালোবাসতে পারি নাই।আমি যতটা দেশকে ভালোবাসতে পেরেছিলাম।সেটার কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।আমি যতদিন বেঁচে থাকব,বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব।আমি যতদিন বেঁচে থাকব,জয় বাংলা বলে বেঁচে থাকব।
বৃহস্পতিবার( ১১ ডিসেম্বর) বিকেলে কাদেরিয়া বাহিনীর আয়োজনে টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন,আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছি।বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীরউত্তম তিনিও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।বঙ্গবন্ধুর সরকার আমাকে বীরউত্তম উপাধি দিয়েছে।বঙ্গবন্ধুর সরকার জিয়াউর রহমানকে বীরউত্তম উপাধি দিয়েছে।এখানে কোন ভিন্নতা নাই।
এখানে আমরা ভিন্নতা করে স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে শক্তিশালী করে দিয়েছি।জামায়াতে ইসলামীকে শক্তিশালী করেছি।ক্ষমা না চাইলে—স্বাধীনতা যুদ্ধে তারা যে অন্যায় করেছে, যে অবিচার করেছে।মা-বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে।সেটা ক্ষমা না চাইলে,তাদের বাংলাদেশে কথা বলারও সুযোগ থাকার কথা ছিল না।বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা ছিলেন বলে জামায়াতের লোকেরা বেঁচে গেছে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়।আমি কৃষক শ্রমিক জনতালীগ আমার গামছার দল নির্বাচন করব।আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে— শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি এ নিয়ে নির্বাচন হলে ২০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে যাবে না।ঐ ভোটে আমরাও যাব না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী,বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতিক,ফজলুল হক বীর প্রতিক,আব্দুল্লাহ বীর প্রতিক,বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল সহ প্রমুখ।
