এখন রাজনীতি করতে হবে দেশ,জনগণ ও দেশের অর্থনীতিকে নিয়ে: আহমেদ আযম খান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন,আমাদের গণতন্ত্রের পথে দেশটাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।মূল বিষয়টি হলো আমাদের একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।আমাদের যে ভঙ্গুর অর্থনীতি সেই অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির অর্থনীতিতে পরিণত করতে হবে।এখন আজেবাজে কথা বলে আমরা অযথা বিতর্কে জড়িয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা পথে আমরা যত দেরিতে যাত্রা শুরু করব তত কিন্তু জাতি ভঙ্গুর অবস্থায় থাকবে।কাজেই কে কোথায় কি বলল,না বলল সে গুলোকে বাদ দিতে হবে।একেক জনে একেক কথা বলে পত্রিকা ও চ্যানেলের শিরোনাম হতে চাই।এসব বাদ দিতে হবে।এখন রাজনীতি করতে হবে দেশ,জনগণ ও দেশের অর্থনীতিকে নিয়ে।অন্য কিছু নিয়ে রাজনীতি করবার সুযোগ আগেই শেষ হয়ে গেছে।
বুধবার(২০ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমেদ আযম খান বলেন,৫ আগস্টের যে গণঅভ্যুত্থান সেই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষায় হলো আর জাতির সাথে প্রতারণা না করা।আমরা এখনো জাতির সাথে প্রতারণা করছি। ৩০০ আসনে কোন একটি দল নমিনেশন দিয়ে ফেলেছে এক বছর আগে।এখনো তারা পিআরের কথা বলে,তোমরা পিআরের কথা বলো আবার ৩০০ আসনে নমিনেশন দাও।পিআরের কথা বললে তো নমিনেশন দেওয়ার কথা না।কাজেই জাতির সাথে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে।না হলে এই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় ভুলুন্ঠিত হবে।আমরা আর আগের প্রতারণার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাই না।
তিনি আরও বলেন,আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির যে সাম্প্রতিক অবস্থাটা এর কারণ হলো দেশের অনিশ্চয়তা। যখনি দেশটা নির্বাচনের দিকে যাবে তখন সকল অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।তখনি আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নতি হবে।মানুষ তখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সকল রাজনৈতিক দল সহযোগীতা করবে।যত দেরি হবে তত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে।এটা আমার মনে হয় সরকার বুঝতে পেরেছে।বুঝতে পেরেই তারা নির্বাচনের পথে যেতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন,যারা বুঝতে পেরেছে তাদের ভোট নেই।তারা শুধু ভোটের চিন্তা করে, দেশের চিন্তা করে না।তারা পিআর,সংস্কার ও বিচার নানা ধরণের কথা বলে এই দেশের অগ্রগতি ও গণতন্ত্রকে থামাতে চাই।কাজেই এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের হাতে। আমরা যখনি সকলে মিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
এসময় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ছবুর খান চানু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খানশূর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ।
