হাসিনাও জনগনকে ভয় পেত :সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

                 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন,হাসিনাও জনগনকে ভয় পেত।তেমনি ৭১ সালে যারা এদেশে গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল, তারাও জনগনকে ভয় পেয়ে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে চায়। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন।আগামীর বাংলাদেশ হবে গনতন্ত্রের বাংলাদেশ। 

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন ।

 

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন,সামনে গণতন্ত্র আসবে এটাই স্বাভাবিক। গনতন্ত্র নিয়ে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে,তারাই জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থেকে গনতন্ত্রের পথে হাটুন। জনগন ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমত সরকার গঠন করতে চায়। এদেশের জনগন ঠিক করবে কারা দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। 

তিনি বলেন, বিএনপির প্রায় সাড়ে ৪'শ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। বিগত আন্দোলনে ছাত্রদল, যবুদল,কৃষকদল, শ্রমিক দলসহ বিএনপির নেতাকর্মরা শহীদ হয়েছেন। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকে এই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে। 

তিনি আরও বলেন,বিগত দিনে যারা স্বৈরাচার ছিল তারা ভোটের রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার হরণ করেছে। দেশের মানুষ তাদের ভোট দিয়ে  সরকার তৈরি করবে কিন্তু সেই কাজ বিগত দিনে যারা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার খুনি সরকার যারা ছিল তারা আমাদের অসংখ্য নেতাকে গুম করেছে খুন করেছে হত্যা করেছে।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন,আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর জেলে নির্যাতন করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যন্ত করতে দেয় নাই।সেই সরকার খুনি শেখ হাসিনা দেশের ভোটের রাজনীতি ধ্বংস করেছে। দিনের ভোট রাতে দিয়েই মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। বিশ্বের দরবারে যাকে বলে নিশি রাতের ভোট ডাকাত সরকার। আজকে ফ্যাসিবাদ পালিয়ে  গেছে। দেশের মানুষ ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে ভোট দিতে পারে নাই। এখন মানুষ ভোট দিয়ে তার পছন্দ মতো সরকার গঠন করতে চায়।

সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামিম আল মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধরন সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তারেকুল ইসলাম ঝলক প্রমুখ। এর আগে একটি শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।