টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ফজিলা বেগম (৬০) অবশেষে নতুন ঘর পেয়েছেন। - বাসাইল নতুন সংবাদ ডটকম
|
ads
  • টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ফজিলা বেগম (৬০) অবশেষে নতুন ঘর পেয়েছেন।





    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ফজিলা বেগম (৬০) অবশেষে নতুন ঘর পেয়েছেন।



    বুধবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে নতুন ঘর হস্তান্তর করেন সিরাজগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মামুন বিশ্বাস। 

    গত ২ সেপ্টেম্বর অসহায় বৃদ্ধা ফজিলা বেগমকে নিয়ে ‘আশপাশের মানুষ যা দেয়, তাই খেয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছি’ শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ডটকমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি সিরাজগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মামুন বিশ্বাসের নজরে আসে। 



    এর আগে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী ফজিলা বেগমের বাড়িতে গিয়ে শুকনো খাবার, নগদ অর্থ ও টিন দেন।



    ফজিলা বেগম বলেন,আগে যে ঘরে ছিলাম সেই ঘরে বৃষ্টি হলেই পানি পড়তো।আমার প্রতিবন্ধী ছেলে ও নাতনিকে নিয়ে পানির মধ্যেই থাকতাম।আমার প্রতিবন্ধী ছেলে ও এতিম নাতনিকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে ভাঙাচোরা ঘরে থাকতাম।আজ আমার বাড়িতে নতুন একটা ঘর হয়েছে।আজ আমি তিন বস্তা চাল,ডালসহ সকল প্রকার বাজার পেয়েছি।এছাড়াও নগদ ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি।যে বাজার নিয়ে আসছে এই বাজার আমি কোন দিন কিনতে পারি নাই।এই বাজার আমার চোখে কোনদিন পড়ে নাই।এতো বাজার এক সাথে আজকে পাইছি।


    তিনি বলেন,আমি মানুষের ধারে ধারে গেছি মানুষ আদা কেজি করে চাল দিছে তাই নিয়ে রান্না করে খাইছি।আমি কি দিয়ে খামু,নুন আনতে পানতা ফুরাই।আমার চাল থাকলে তরকারি থাকে না।তরকারি থাকলে চাল থাকে না।আজ আমি অনেক জিনিস পাইছি।তার জন্য আমার খুব খুশি লাগতাছে।তাদের দোয়া করি আমার মতো গরীব অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করতে পারে।আমার মতো অভাবী মানুষদের অভাব দূর করতে পারে।আজ মামুন মামা আমাকে ঘর দিয়ে দিছে।আমার মতো মানুষদের যেন সহযোগিতা করতে পারে। 




    মামুন বিশ্বাস বলেন,কিছু দিন আগে অসহায় এতিম জান্নাত ও ফজিলাকে নিয়ে ঢাকা পোস্টে নিউজ করে। মানবেতর জীবন-যাপন করছিল নিউজটা আমরা দেখি।তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।আমরা যখন ফেইসবুকে পোস্ট দেয়, দেশ-দেশের বাহিরে থেকে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা পাঠান। তার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ফজিলা বেগমের বাড়িতে এসে আর্থিক সহযোগিতা করেন।


    তিনি আরও বলেন,আমাদের টার্গেট ছিল,রঙিন টিনের ঘর, টয়লেট,লেপ- তোষক,বিছানার চাঁদর, জমা-কাপড় ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ফজিলা বেগমের হাতে দিলাম।জান্নাতের লেখাপাড়া জন্য প্রবাসী নাহিদ ভাই প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা দেবেন।দেশ-দেশের বাহিরে তাদের নিউজটি দেখে হৃদয় কেঁপে উঠেছিল এটাই তো মানবতা।আমরা সেচ্ছাশ্রম দিয়ে দ্রুতই তাদের রঙিন ঘর এবং যা যা লাগে সবকিছু তুলে দিয়ে গেলাম।দিনশেষে ছুটে চলা এটাই আত্মতৃপ্তি। একটা মানুষের হাসি ফোটানো,ভালোভাবে বেঁচে থাকবে।জান্নাতের লেখাপড়া নিশ্চিত হলো।এটাই তো আমাদের সবসময় অনুপ্রেরণা দেয়।ধন্যবাদ ঢাকা পোস্টকে এমন একটি মানবিক নিউজ সবার সামনে তুলে আনার জন্য।



    সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে পজিটিভ ব্যবহার তার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে ফজিলার আত্ম কাহিনীর মধ্যে দিয়ে। ব্যক্তি উদ্যোগে একজন সহৃদয়বান ব্যক্তি মামুন সিরাজগঞ্জ থেকে এসে তিনি ফজিলার ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছেন।আমরা পূর্বে ফজিলাকে সরকারীভাবে সহযোগিতা করেছিলাম।সেই সরকারী সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোত্তারা যারা আছেন,তারা যে আত্ম মানবতার খাতিরে আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন।এইজন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।যে সকল সাংবাদিক এই বিষয়টি তুলে নিয়ে এসেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।